জেলার খবর
Trending

চিকিৎসার গাফিলতি ও রোগীকে অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল।

উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল।

বোলপুর, মুনতাজ রহমান : চিকিৎসার গাফিলতি ও রোগীকে অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল। কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সের লাইসেন্স বাতিলের দাবি পরিবারও জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের। নানুর থানার পালিটা গ্রামের বাসিন্দা শামসু নিহার বিবিকে শুক্রবার অতিরিক্ত রক্তপাতের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান রোগীকে বাঁচাতে গেলে গর্ভপাত করাতে হবে। সেই মতো সম্মতি দেন রোগীর স্বামী সফিউল্লা। পরিবারে পক্ষ থেকে জানানো হয় রোগীকে সুস্থ করতে গেলে যা প্রয়োজন সব ধরনের ব্যবস্থা করুন। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক ঔষধের দাঁড়ায় গর্ভপাত করান। অভিযোগ গর্ভপাত করানোর সময় রুগীকে অশ্লীল ভাষা গালিগালাজ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্স। পরিবারকে জানানো হয় পুরো ওয়াস করা হয়েছে ছুটি দিয়ে দেওয়া হবে। এর পর থেকে পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় শামসু নিহার বিবির। অসহ্য যন্ত্রণার কথা কর্তব্যরত নার্সদের জানানো হলেও তার কোন কথাই কর্ণপাত করেনি। শামসু নিহার বিবির স্বামী চিকিৎসক অনুরোধ করেন পেটে ছবি করানোর জন্য কিন্তু চিকিৎসক জানান পেটের ভেতরে কোন কিছুই নেই সব ওয়াশ হয়ে গেছে। তারপরেও সেই যন্ত্রনা কমেনি। অতিরিক্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন রুগী। সকাল বেলায় বাথরুমে নিয়ে গেলে মৃত সন্তান প্রসব হয় শামসু নিহার বিবির। আর এর পরেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয় পরিবারের। পরিবারের অভিযোগ বারবার অনুরোধ করার পরেও কেউ কোন কর্ণপাত করেনি এমনকি রোগীর সাথেও দুর্ব্যবহার করেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা। এই খবর ছড়িয়ে পড়তে রোগীর প্রয়োজন এরা ভিড় জমান হাসপাতালে। বিক্ষোভ শুরু হয় হাসপাতালে। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আছেন শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। পরিবারে পক্ষ থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপে দাবি জানানো হয়।

এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাতে ও কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের শাস্তির দাবিতে হাসপাতালে হাজির হন বীরভূম জেলা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মৌলানা আনিসুর রহমান। কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানান।

ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্বরে ছুটে আসেন শান্তিনিকেতন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলেন তারা। পরিবার ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ জানানো হয় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে।

Related Articles

Back to top button