জেলার খবর
Trending

জলমগ্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র: খুদে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ কি জলেই ভেসে যাবে?

বীরভূম, রাজনগর, সংকল্প দে : রাজনগর ব্লকের তাঁতিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ১২৬ নম্বর তাঁতিপাড়া ধীবরপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র প্রতিবছর বর্ষার সময় চরম দুর্ভোগের মুখে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই কেন্দ্রটি সম্পূর্ণভাবে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ফলে বিপাকে পড়ছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খুদে পড়ুয়া, সহায়িকা ও কর্মীরা।

অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে একই সমস্যা চললেও আইসিডিএস কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসন কোনও স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেননি। প্রতিটি বর্ষায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘর, রান্নার জায়গা ও আশপাশের এলাকা ডুবে যায়। জলমগ্ন অবস্থায় বিষধর সাপ ও নানা ধরনের পোকামাকড় কেন্দ্রে ঢুকে পড়ে, যা শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।

প্রতিবছর এই সমস্যা সামনে আসলেও প্রশাসন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত দফতরগুলি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদেরও মাঝে মাঝে বাধ্য হয়ে আশপাশের বাড়িতে ঠাঁই নিতে হচ্ছে শিশুদের নিয়ে।

এই বিষয় নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা জানাচ্ছেন অনেকদিন আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। তবে প্রতিবছরই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে জল ঢোকে না। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের আশেপাশে প্রচুর বাড়ি হয়ে যাওয়ার ফলে জমা জল ঢুকে পড়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। আর এর ফলেই বিপাকে পড়তে হয় পড়ুয়া থেকে শুরু করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের। কেন্দ্রে জল প্রবেশ করার জন্য পড়াশোনার সুযোগ থাকে না পড়ুয়াদের। কেবল মিড ডে মিলের খাবার দিয়েই বাড়ি ফিরতে হয় অঙ্গনারী কর্মীদের।

তবে এই বিষয়ে কিছুই জানেন না শিশু ও নারী বিভাগের কর্মীরা বলে জানালেন শিশু ও নারী বিভাগের কর্মী চিত্রলেখা রায়।

এই অবস্থায় অভিভাবকদের আবেদন— শিশুদের ভবিষ্যৎ ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আইসিডিএস কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন যেন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। শুধুমাত্র বার্ষিক পরিদর্শন বা প্রতিশ্রুতিতে নয়, কার্যকরী স্থায়ী সমাধানের পথে হাঁটুক রাজনগর ব্লক প্রশাসন।

Related Articles

Back to top button