জাতীয় ললিতকলা একাডেমী পুরস্কার পাচ্ছেন অধ্যাপক আশীষ ঘোষ
জাতীয় ললিতকলা একাডেমী পুরস্কার পাচ্ছেন অধ্যাপক আশীষ ঘোষ

শান্তিনিকেতন, দেবশ্রী মজুমদার : জাতীয় ললিতকলা একাডেমী পুরস্কার ২০২৫ পাচ্ছেন শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির বাসিন্দা বিশ্বভারতীর শিল্প সদনের অধ্যাপক আশীষ ঘোষ। দিল্লির জাতীয় ললিত কলা একাডেমি থেকে এই মর্মে একটি চিঠি এসে পৌঁছেছে শিল্পী আশীষ ঘোষের কাছে। জানা গেছে অধ্যাপক আশীষ ঘোষ কলা ভবন থেকে ডিপ্লোমা এবং পরে স্নাতক উত্তর করেন। যদিও তার শিক্ষা জগতে প্রবেশ শিল্প সদন থেকে। সেই শিল্প সদনে কুড়ি বছর যাবত তিনি অধ্যাপনায় রত। ৬৪ তম জাতীয় কলা প্রদর্শনীতে তার সীসাইড সিম্ফনি নামাঙ্কিত হার্ট এক্সিবিশন এই জাতীয় পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছে। চলতি বছরের পাঁচই আগস্ট দিল্লির কামানি অডিটোরিয়ামে এর উদ্বোধন হবে বিকেল চারটে নাগাদ। তারপর ফের দিল্লির ললিতলা একাডেমির আর্ট গ্যালারিতে এবং রবীন্দ্র ভবনে উদ্বোধিত হবে। তার ১৫ ২০ দিন পর ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে তিনি এই জাতীয় পুরস্কারটি গ্রহণ করবেন। ললিতলা একাডেমী থেকে তাকে দিল্লির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চৌঠা আগস্ট উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। গণিতকলা একাডেমি তার সমস্ত যাতায়াতের খরচ থাকার ব্যয় ভার বহন করবে বলে জানা গেছে।

অধ্যাপক আশীষ ঘোষ জানান, ইতিপূর্বে তিনি অনেক সরকারি ও বেসরকারি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার মধ্যে আন্তর্জাতিক পুরস্কারও আছে। তবে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার মূল্যটাই আলাদা। এই জাতীয় পুরস্কার তার ছাত্র-ছাত্রী এবং অন্যান্য শিল্পীদের আরো উৎসাহিত করবে। পাশাপাশি এই পুরস্কার তাকেও এই কাজে আরও উৎসাহিত করবে। শিল্প সদনে মূলত ক্রাফট ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করা হয়। এক্ষেত্রে তার এই কাজ ক্রাফ ডেভেলপমেন্ট থেকে ভাস্কর্যে উত্তীর্ণ হয়েছে। বাঁকুড়ার যে শাখের কাজের ক্লাস্টার আছে তাদের পরিত্যক্ত শাঁখের অংশ দিয়ে তিনি ভাস্কর্যের কাজ করেছেন। এই কাজ তাকে জাতীয় পুরস্কার এনে দিয়েছে। তারই কাজ তিনি তার বিশ্ববিদ্যালয় সহকর্মী এবং ছাত্রদের উৎসর্গ করেছেন।
বিস্তারিত খবর দেখতে ইউটিউবের লিংক নিচে দেওয়া আছে।