দুবরাজপুর থানার পক্ষ থেকে মহরম উপলক্ষে শান্তি বৈঠকদুবরাজপুর থানার পক্ষ থেকে মহরম উপলক্ষে শান্তি বৈঠকদুবরাজপুর থানার পক্ষ থেকে মহরম উপলক্ষে শান্তি বৈঠক।

দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদ : ইসলামিক আরবি সনের প্রথম মাস হচ্ছে মহরম মাস। আর এই মাসেই পালিত হয় মহরম উৎসব। এই উৎসব হচ্ছে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষদের বড় উৎসব। উল্লেখ্য, কারবালা প্রান্তরে মহরম মাসের ১০ তারিখে এজিদের হাতে শহীদ হয়েছিলেন ইমাম হোসেন ও তাঁর সঙ্গী সাথীরা।

আগামী ৬ জুলাই মহরম উৎসবে মেতে উঠবেন বীরভূম জেলার দুবরাজপুর থানা এলাকার বাসিন্দারা। মহরম উৎসবে যাতে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য আগে থেকেই সজাগ থাকবেন পুলিশ কর্মীরা। পাশাপাশি মহরম উৎসব যাতে মহা ধুমধামের সাথে পালিত হয় সে বিষয়ে বীরভূম জেলা পুলিশের উদ্যোগে এবং দুবরাজপুর থানার ব্যবস্থাপনায় দুবরাজপুর পৌরসভার সভাকক্ষে দুবরাজপুর থানা এলাকার সমস্ত মহরম কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন পুলিশ আধিকারিকরা। এদিন উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি ক্রাইম প্রতীক রায়, দুবরাজপুরের সিআই শুভাশিস হালদার, দুবরাজপুর থানার ওসি মনোজ সিং, ট্রাফিক ওসি সন্তু ব্যানার্জী, দুবরাজপুর ফায়ার ব্রিগেডের আধিকারিক কৃষ্ণদয়াল বসু, দুবরাজপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে, উপ পৌরপ্রধান মির্জা সৌকত আলী, দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ রফিউল হোসেন খান, দুবরাজপুর পৌরসভার কাউন্সিলার তথা উৎসব কমিটির সম্পাদক সেখ নাজির উদ্দিন, কাউন্সিলার মানিক মুখার্জি, সাগর কুণ্ডু, বিশিষ্ট আইনজীবী স্বরুপ আচার্য, সমাজসেবী প্রভাত চ্যাটার্জি, ইসলামপুর গ্রাম ষোলো আনার সভাপতি সর্দার আলী, ইসলামপুর সদর মসজিদের পেশ ইমাম হাফিজ আনোয়ার হোসেন সহ দুবরাজপুর থানা এলাকার মহরম কমিটির সদস্যরা। উল্লেখ্য, কারবালা প্রান্তরে মহরম মাসের ১০ তারিখে এজিদের হাতে শহীদ হয়েছিলেন ইমাম হোসেন ও তাঁর সঙ্গী সাথীরা। তাই সেই দিনটাকে স্মরণ করে ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা মহরম উৎসব পালন করেন। ঐদিন ইসলামপুর ও দুবরাজপুর থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাজিয়া বের হয়। তাই এই মহরম উৎসব উপলক্ষে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই উদ্দেশ্যেই বীরভূম জেলা পুলিশ ও দুবরাজপুর থানার পক্ষ থেকে এই বৈঠকের আয়োজন।
