নাম দিয়ে কি যায় চেনা!আনন্দবাজারে মাতল বিশ্বভারতী
নাম দিয়ে কি যায় চেনা!আনন্দবাজারে মাতল বিশ্বভারতী
শান্তিনিকেতন,দেবস্মিতা চট্টোপাধ্যায় : বিশ্বভারতীর আনন্দবাজার মানেই অভিনব নামের ছড়াছড়ি। স্টলের নাম হোক বা খাবারের নাম—প্রতিটিতেই রয়েছে সৃজনশীলতার ছাপ। কোথাও স্টলের নাম রাখা হয়েছে ‘পাখিদের কিচিরমিচির’, কোথাও আবার ‘শরতের ঝুলি’। চীনা ভবনের স্টলের নাম চীনে আহার, আবার নিপ্পন ভবনের স্টলের নাম জাপোনিকা, পদার্থবিজ্ঞানের পড়ুয়ারা স্টলের নাম দিয়েছেন Awe-পদার্থ। খাবারের নামেও দেখা যাচ্ছে নতুনত্ব। খাবার চেখে না দেখে বোঝার উপায় নেই আসলে খাবারটা কী।
শান্তিনিকেতনের আকাশে শরতের রোদ্দুর, চারিদিকে কাশফুলের সাদা হাসি। সেই আবহেই বিশ্বভারতীর গৌরপ্রাঙ্গণে বসেছে বহু প্রতীক্ষিত আনন্দবাজার। এ যেন বর্তমান ও প্রাক্তনীদের মিলনমেলা। প্রাক্তনীরা এসে খুঁজে নিচ্ছেন পুরনো দিনের আবেগ, নতুনরা দেখাচ্ছেন তাঁদের সৃজনশীলতা।

ভিড়ের মধ্যেই দেখা মিলল বিশ্বভারতীর উপাচার্য ড. প্রবীর কুমার ঘোষের। ৪৪ বছর আগে বিশ্বভারতীরই ছাত্র ছিলেন তিনি, বর্তমানে উপাচার্য। ড. প্রবীর কুমার ঘোষ এদিন ছাত্রছাত্রীদের হাতে বানানো খাবার চেখে দেখেন, তাঁদের বানানো শিল্পকর্ম ও ম্যাগাজিন ঘেঁটে নস্টালজিক হয়ে বললেন, “এ তো আমাদেরই চির চেনা বিশ্বভারতী।”
আনন্দবাজারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, আনন্দবাজার থেকে পাওয়া লভ্যাংশ সরাসরি যায় সেবা বিভাগে। সেই অর্থ ব্যবহার করা হয় অসহায় পড়ুয়াদের সাহায্যের জন্য। তাই আনন্দবাজার শুধু আনন্দের নয়, মানবিকতারও প্রতীক হয়ে উঠেছে।
বিস্তারিত খবর দেখতে ইউটিউবের লিংক নিচে দেওয়া আছে।