বোলপুর মহকুমা অফিসে গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের সঙ্গে মহকুমা শাসক কর্মীদের বচসা।

বোলপুর, মুনতাজ রহমান : বোলপুর মহকুমা অফিসে আইনজীবীদের সাথে মহকুমা শাসক কর্মীদের ধস্তাধস্তি ও বচসা। বুধবার আইনজীবীদের গাড়ি রাখা কে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত। সেটা এক সময় এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে মহকুমা প্রশাসন আইনজীবীদের প্রশাসনিক দপ্তরের ঘর থেকে বের করে দিতে বাধ্য হন বলে সূত্রের খবর। যদিও এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষই চাপানো উতোর শুরু করেছে। অভিযোগ, বোলপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবীরা একত্রিত হয়ে বোলপুর মহকুমা শাসক এর দপ্তরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান এবং মহকুমা শাসক অয়ন নাথের সঙ্গে বসসায় জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বোলপুর আদালতের কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যায়। যদিও এই ঘটনার নিয়ে আইনজীবীদের দাবি, মহকুমা শাসক অয়ননাথ নিজে খারাপ ব্যবহার করেছেন বোলপুরের আইনজীবীদের সঙ্গে। বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকা চলার পর দুই পক্ষই তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবে এমনই জানিয়েছে। রয়েছে অন্যদিকে মহকুমা শাসকও তার দপ্তর ছেড়ে বেরিয়ে যান ।

বোলপুর মহাকুমা আদালতের আইনজীবী নুপুর দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সাধারণের জন্য গাড়ি রাখার একটি স্ট্যান্ড আছে ঠিকই। কিন্তু সেই জায়গাটি ফাঁকা না থাকায় আমরা বাধ্য হয়ে মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে যেখানে তাদের কর্মীরা গাড়ি রাখেন সেখানেই রেখেছিলাম। তাকে কেন্দ্র করে আমাদের জুনিয়র আইনজীবী
তোতন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন মহকুমা শাসকের দপ্তরের কর্মীরা। আমরা তাদের জানাই যে এখানে এক্সিকিউটিভ কোর্ট বসে। সাধারণ মানুষের স্বার্থে কিছুক্ষণের জন্য আমরা এখানে আসি। তারপর চলে যায়। তবুও এই গাড়ি রাখা কে কেন্দ্র করে ঝামেলা পাকান সংশ্লিষ্ট কর্মীরা। শুধু তাই নয়, মহকুমা শাসক আমাদের প্রশ্নের জবাব না দিতে পেরে পালিয়ে যান এবং আমাদের সাড়ে পাঁচটার পর দেখা করতে বলেন। আমরা বলি এভাবে সিকিউরিটি দিয়ে আইনজীবীদের গায়ে হাত তোলা যায় না।
বোলপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবী তোতন মুখোপাধ্যায় একই কথা বলেন।
তবে মহকুমা শাসক অয়ন নাথ এ ব্যাপারে তিনি জানান, কারো সঙ্গে কোনো খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। তীব্র যানজটের সৃষ্টি হওয়াতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে বলে কর্তব্যরত সিকিউরিটিরা আইনজীবীদের ভিড় না বাড়িয়ে চলে যেতে বলেন। পাশাপাশি, নানুরের বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখার জন্য এডিএম সাহেবের সঙ্গে মহকুমা শাসকের যাওয়ার কথা ছিল। তাই আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি ১৫ মিনিট সময় দেন। কিন্তু তারা সিনিয়র আইনজীবীদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। যেহেতু বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যাওয়া একটি জরুরী বিষয় সে কারণে তিনি আইনজীবীদের বলেন নানুর থেকে ফিরে ই সাড়ে পাঁচটার সময় তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। সেই ধৈর্যটুকু তাদের ছিল না।