
শান্তিনিকেতন, দেবস্মিতা চট্টোপাধ্যায় : ভাষার উপর আক্রমণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আন্দোলনকেই সমর্থন অমর্ত্যর মুখ্যমন্ত্রীর ভাষার অধিকার নিয়ে আন্দোলনকে কার্যত সমর্থন জানালেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর অমর্ত সেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শান্তিনিকেতনে ফিরে তিনি ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার নিয়ে প্রতিবাদে সরব হলেন। এদিন অমর্ত্য সেন বলেন, আমি সবেমাত্র শান্তিনিকেতনে এসেছি। এখনো বিষয়টি পুরো জানিনা। আমাকে অনুধাবন করতে হবে। তারপরেই তিনি বলেন, ভারতবর্ষের কিছু রাজ্যে যেখানে বাঙ্গালীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে সেটাতে প্রতিবাদ করার কারণ আছে। তবে প্রশ্নটা বাঙালি নয় যেকোনো ভাষার মানুষ হতে পারেন। তিনি পাঞ্জাবি হতে পারেন। সংবিধান আমাদের সেই অধিকার দিয়েছে ভারত বর্ষ এমন একটি দেশ সেখানে বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষ সহবস্থন করে। তাদের যে কোন জায়গায় যাওয়ার অধিকার আছে এবং তাদের নিজের ভাষা বলার অধিকার আছে তার জন্য কেউ লাঞ্চিত অপমানিত বা অত্যাচারিত হতে পারেনা এটা হলে তার প্রতিবাদ হওয়ার যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সুর শোনা গেল অমর্ত্য সেনের গলায়। তিনি বলেন, একাদশ শতাব্দী থেকে বাংলা ভাষা চর্যাপদের মাধ্যমে শুরু হয়ে তার বিবর্তন হয়েছে। সেক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাজী নজরুল ইসলাম এনাদের মত মনীষীদের অবদান রয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আঞ্চলিক ভাবনা থেকে বাংলা ভাষা কে অবহেলিত করা হয়। প্রথমেই ভাবতে হবে কোন মানুষকে যেন অপমানিত বালাঞ্চিত হতে না হয় তার ভাষার জন্য। ওড়িশা রাজস্থান ইত্যাদি জায়গায় যে পরিচয় শ্রমিকরা অত্যাচারিত অপমানিত হচ্ছে এটা কাম্য নয়। এটা তো আলোচনার বিষয় নয় এটা মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। এটা হরণ করা যায় না।