জেলার খবর
Trending

“মেয়েকে খুন করা হয়েছে”—অভিযোগ দিশার মায়ের

নানুর, মুনতাজ রহমান : নানুরের খালা গ্রামের ১৫ বছরের দিশা মণ্ডল প্রায় এক মাস আগে হঠাৎই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ, সেই সময় পুলিশ তদন্তে তেমন সক্রিয় ভূমিকা নেয়নি।

কি ঘটে ছিল নানুর থানার খালা গ্রামে।

২৮ জুলাই (আনুমানিক):
নানুরের খালা গ্রামের ১৫ বছরের দিশা মণ্ডল হঠাৎই নিখোঁজ হয়। পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশের পক্ষ থেকে খোঁজ শুরু হলেও বিশেষ অগ্রগতি হয়নি।

১ আগস্ট:
পাপুড়ি গ্রামে অজ্ঞাতপরিচয় এক পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দিশার পরিবার সন্দেহ প্রকাশ করলেও পুলিশ তখনও মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারেনি।

আগস্টের প্রথম সপ্তাহ:
দিশার পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলে। প্রতিবেশীদের দাবি—তদন্তে যথেষ্ট তৎপরতা দেখা যায়নি।

আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ:
উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরিবারের দাবি, দিশার বান্ধবী এই বিষয়ে অনেক কিছু জানে, তবু পুলিশ সঠিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না।

২৫ আগস্ট:
ডিএনএ রিপোর্টে নিশ্চিত হয়—উদ্ধার হওয়া দেহটি দিশা মণ্ডলের।

২৬ আগস্ট:
এক মাসের প্রতীক্ষার পর অবশেষে দিশার দেহ হাতে পায় পরিবার। মৃতার মা কেয়া মণ্ডলের অভিযোগ, মেয়েকে খুন করা হয়েছে, অথচ পুলিশ শুরু থেকেই সহযোগিতা করেনি। পুলিশের বক্তব্য, দিশা আত্মহত্যা করেছে।

বর্তমান পরিস্থিতি:
ঘটনার এক মাস কেটে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। স্থানীয় মানুষের মধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে।

কিছুদিন পর পাপুড়ি গ্রামে উদ্ধার হয় এক অজ্ঞাতপরিচয় পচাগলা দেহ। সেক্ষেত্রে পরিবারের সন্দেহ থাকলেও পুলিশ প্রথমে দিশার দেহ বলে মানতে চায়নি। অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার পর মিল পাওয়া গেছে—দেহটি দিশারই। এক মাসের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মৃতদেহ হাতে পেল পরিবার।

মৃতার মা কেয়া মণ্ডলের অভিযোগ, “আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে, অথচ পুলিশ কোনো সহযোগিতা করেনি।” পুলিশের দাবি অবশ্য ভিন্ন—তাদের বক্তব্য, নাবালিকা আত্মহত্যা করেছে। তবে ঘটনার এক মাস কেটে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

পরিবারের দাবি, দিশার এক বান্ধবী এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানে। পুলিশ তদন্তে গাফিলতি করছে বলে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়। গ্রামে গ্রামে আলোড়ন তৈরি হয়েছে দিশার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে।

বিস্তারিত খবর দেখতে ইউটিউবের লিংক নিচে দেওয়া আছে।

Related Articles

Back to top button