জেলার খবর
Trending

রামপুরহাটে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

রামপুরহাটে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

রামপুরহাট, মুনতাজ রহমান(বাপি) : বীরভূম জেলার রামপুরহাট মহকুমার অন্তর্গত নারায়ণপুর, শালবুনি ও খইডাঙ্গা এলাকায় ব্যাপক হারে অবৈধভাবে বালি আসছে ঝাড়খণ্ড থেকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে ছোট ছোট গাড়ি করে প্রচুর পরিমাণ বালি আনা হচ্ছে। সেই বালি জমা করা হচ্ছে নারায়ণপুর এলাকায়। পরে সেগুলি ট্রাক্টর বোঝাই করে রামপুরহাট ও আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হচ্ছে অবৈধভাবে। ফলে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে সরকারি রাজস্বও বঞ্চিত হচ্ছে। এবং রাস্তার অবস্থা বেহাল হচ্ছে দিনে দিনে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই বালি কারবার চললেও পুলিশ প্রশাসন কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছে। প্রশাসনের চোখের সামনে দিয়ে প্রতিদিন রাতেই বালি বোঝাই গাড়ি যাচ্ছে, কিন্তু তাতে কোনো কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে বালি কারবারিদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে।

যদিও বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, জেলার কোথাও অবৈধ বালি কারবার চলতে দেওয়া হবে না। মাঝেমধ্যেই তিনি অজয় ও ময়ূরাক্ষী নদীর বালিঘাটে অতর্কিত অভিযান চালাচ্ছেন। সেইসব অভিযানে বহুবার অবৈধ বালি বোঝাই ট্রাক্টর ধরা পড়েছে। কিন্তু এরপরেও রাতের অন্ধকারে চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে না।

এই পরিস্থিতিতে বড় প্রশ্ন উঠছে—আগামী দিনে পুলিশ প্রশাসন কি সত্যিই অবৈধ বালি কারবার রুখতে দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে, নাকি নিরব দর্শক হয়েই থেকে যাবে? প্রশাসনের সক্রিয়তা ছাড়া এই বেআইনি কারবার যে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, তা সকলেই একবাক্যে স্বীকার করছেন। এখন দেখার বিষয়, কবে বাস্তবে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

বিস্তারিত খবর দেখতে ইউটিউবের লিংক নিচে দেওয়া আছে।

Related Articles

Back to top button