জেলার খবর
Trending

শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বোলপুর মহাকুমা হাসপাতাল।

বোলপুর, মুনতাজ রহমান : শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বোলপুর মহাকুমা হাসপাতাল। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে ঠিকমতো চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ হাসপাতালে কর্মরত নার্স ও ডাক্তার ওদের বিরুদ্ধে। ইলামবাজারে চুল পলাশী গ্রাম থেকে প্রসূতি লাউমা খাতুনকে ভর্তি করা হয় বোলপুর মহাকুমা হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছিল সে। সেই যন্ত্রনা যত সময় গড়িয়েছে প্রসব যন্ত্রণা মাত্রা ছাড়িয়েছে। পরিবারের অভিযোগ একদিকে যখন ছটফট করছে রোগী অন্যদিকে মোবাইলে মগ্ন হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্সরা। বারবার কাকুতি মিনতি করলেও কেউ কোন কথা শোনে নি। এমনকি নার্সরা জানান নিজেরাই সিজার করে নিন। কেবল এই রোগীর আত্মীয় পরিজনেরাই এমন অভিযোগ করছেন না হাসপাতালে ভর্তি থাকা অনেক রোগীর আত্মীয়রা এমন অভিযোগ করছেন। রোগী মরণাপন্ন অবস্থা হওয়ায় এদিন ভোরের বেলায় লেবার রুমে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর মৃত বাচ্চা হয়। বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে সেই খবরটুকু জানানো হয়নি পরিবারকে অভিযোগ একদিকে পড়ে রয়েছে মৃত শিশু অন্যদিকে পরিবারকে লেখানো হচ্ছে রোগীর অবস্থা মরণাপন্ন তাই কোন কিছু হলে হাসপাতাল বা চিকিৎসকরা দায়ী থাকবেন না। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করলেন ক্যামেরার সামনে। এরপরেই শোনা যায় বাচ্চাটি মারা গিয়েছে। এরপরই ক্ষভে ফটে পড়ে রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। কেবল মৃত শিশুর আত্মীয় পরিজনেরাই নয় সমস্ত রোগীর আত্মীয়-পরিজনেরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে হাসপাতালে। তাদের দাবি বারবার এমন দুর্ঘটনা ঘটছে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে কোন কর্ণপাত করার কেউ নেই। এর আগেও বারবার এমন অভিযোগ উঠেছে সরকারি হাসপাতালগুলির উপর বিশেষ করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে রোগী পরিষেবা নিয়ে আমি সেই অভিযোগ উঠে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটলো না।

অন্যান্য রোগীর আত্মীয় পরিজনদের অভিযোগ কোন পরিষেবায় নেই বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। লাভপুরের দাঁড়াকা নবগ্রাম থাকে আসা রুগীর পরিবারের অভিযোগ কাল থেকে মেয়েকে নিয়ে এসে ভর্তি করেছে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সদ্যোজাত শিশু পেটেই মারা গেছে সেইটি ওয়াস করতে হবে কিন্তু একদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কিছুই করেন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা।

কবে মিলবে সাধারণ মানুষের হাসপাতালের পরিষেবা কে দেবে এই প্রশ্নের উত্তর তা কেউ জানে না। দিনের পর দিন এই ভাবেই সরকারি হাসপাতাল থেকে হয়রানি শিকার হতে হবে সাধারণ মানুষকে। কেবল লিখিত অভিযোগ জমা পড়বে কিন্ত বিচার মিলবি কি ?

Related Articles

Back to top button