শান্তিনিকেতন, দেবস্মিতা চট্টোপাধ্যায় : বেশ কয়েকবছর আগেও ছিল টেলিভিশনে এখন মোবাইলের দৌলতে হাতে হাতে ঘুরছে অ্যানিমেশন চরিত্রগুলো। কখনও নতুন কিছু, কখনও আবার বইয়ের পাতায় থেকে যাওয়া চরিত্ররা জীবন্ত হয়ে ওঠে অ্যানিমেশনের হাত ধরে, আট থেকে আশি সবাইকে আনন্দ দেয়। উন্নত থেকে উন্নততর হতে হতে বর্তমানে নজর কেড়েছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ AI. নামেই যার আর্টিফিসিয়াল তাকে সাদরে গ্রহণ করতে নারাজ অনেকেই। উঠেছে নানান বিতর্কও। তবে তারই মাঝে AI বহাল তবিয়তে বিরাজমান। সৃজনশীলতার কদর কি তবে একেবারেই কমে গেল! না, ছোটরা তা বলছে না। বিশেষত অ্যানিমেশনের ক্ষেত্রে AI কিছুটা অপছন্দেরই তাদের কাছে। ‘অক্টোডুডল’ নামের কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে এমনই মত প্রকাশ করল কচিকাঁচারা।

অ্যানিমেশন মানেই ছোটদের কাছে খুবই আনন্দদায়ক একটি বিষয়। মনোরঞ্জনের সঙ্গেই কখনও কখনও জীবনের পাঠ দেওয়ারও চেষ্টা করা হয় অ্যানিমেশনের মাধ্যমে। সেই অ্যানিমেশনই কীভাবে তৈরি করা হয় তারই পাঠ দিচ্ছে অক্টোবট অ্যানিমেশন। বিশ্বভারতীর শিক্ষাসত্রের পক্ষ থেকে সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কর্মশালার জন্য। দুদিনের এই অ্যানিমেশন কর্মশালা থেকে নানা কিছু শিখল শিক্ষাসত্রের পড়ুয়ারা। মূলত বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের এই বিষয়টি শেখানো হয় বলে জানালেন উদ্যোক্তাদের অন্যতম সুপ্রতিম কুণ্ডু। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের রমরমা সত্ত্বেও মানুষের তৈরি অ্যানিমেশনের কদর কমতে পারে না বলেই আশাবাদী তাঁরা। একই কথা বলল শিক্ষার্থীরাও। তারাও বলছে, “যতই আসুক AI, অ্যানিমেশনের থাকা চাই।”