
রামপুরহাট, আমার খবর : এক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের মারে অসুস্থ প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্রী। তাদের রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপা,তালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বীরভূমের রামপুরহাটে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-আমিন ব্রিলিয়ান্ট একাডেমিতে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম খুরশিদ আলাম। ওই শিক্ষককে আটক করেছে রামপুরহাট থানার পুলিশ। জানা গেছে, ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানকে অভিযোগ জানিয়েছিলো যে তারা ওই শিক্ষকের ক্লাস করতে চান না। আলাদা শিক্ষক দেওয়ার আবেদনও তারা করে। আজ বৃহস্পতিবার সকল আনুমানিক এগারোটা নাগাদ ক্লাস চলাকালীন ছাত্রীদের চুলের মুঠি ধরে মারধর করার অভিযোগ ওঠে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শিক্ষকের মারে অসুস্থ হয়ে পড়ে ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্রী, অসুস্থ ছাত্রীদের উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রামপুরহাট থানার পুলিশ। এই ঘটনায় হোস্টেল ইনচার্জ কোন মন্তব্য করতে চাননি। তবে একাডেমির অন্যতম সদস্য মোঃ ডালিম জানান যে খুরশিদ আলাম একজন অতিথি শিক্ষক। তিনি অন্য জায়গায় চাকরি করেন। বাড়িতে টিউশনি পড়ান। এই একাডেমিকে ঘন্টা দেরেকের জন্য উনি বা কখনো উনার স্ত্রী বায়োলজি পড়াতে আসতেন। কিন্তু ছাত্রীরা একাডেমীর অফিসে অভিযোগ করেন যে তারা ওনার কাছে পড়তে চান না। এরপরেই ওই শিক্ষক ছাত্রীদের উপর ক্ষেপে যান। আগেও এ নিয়ে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে উনার গন্ডগোল হয়। তিনি আশা করেছিলেন ম্যানেজমেন্টে কোন একটা পদে থেকে তার এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু এখানে সেটা কি করে করা যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোন ঝামেলা হোক অশান্তি হোক আমরা চাই না। আর তাছাড়া আমাদের মেইন অফিস খড়গপুর ঠিক করবে কে ম্যানেজমেন্টে থাকবে, কে থাকবে না। রামপুরহাট থানার পুলিশ অভিযোগ পেয়ে এসেছিলেন। তারা পুরুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তারপর অভিযুক্ত শিক্ষককে রামপুরহাট থানায় নিয়ে যান। বিস্তারিত খবর ইউটিউবের লিংক নিচে দেওয়া আছে।