বোলপুর, দেবস্মিতা চট্টোপাধ্যায় : একুশে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে লক্ষাধিক মানুষ বীরভূম থেকে রওনা দিচ্ছেন কলকাতার পথে। তাঁদের মধ্যে উচ্ছাস চোখে পড়ার মতো। আজ, রবিবার সারাদিন এবং আগামীকাল সকাল পর্যন্ত মানুষ শহীদ স্মরণ সভার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বীরভূম থেকে। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার কর্মীদের সঙ্গে ট্রেনে যাবার কথা থাকলেও এদিন ট্রেন দেরিতে চলায় নিজের গাড়িতেই কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। ট্রেনে তিল ধারণের জায়গা নেই। সিট না পেয়ে অনেকেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। একুশে জুলাই মানুষের কাছে এক বড় আবেগ। এবার অবশ্য ২০২৬ এ বাংলা কার তা নিশ্চিত করার দিন। মন্ত্রী জানান, একুশের শহীদ মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন তা শোনার জন্য কাতারে কাতারে যুবক, মহিলা এবং বিভিন্ন সংগঠনের মানুষ সেখানে হাজির হবেন। ইলামবাজার সহ অন্যান্য জায়গা থেকেও অসংখ্য মানুষ বোলপুরে উপস্থিত হয়েছেন। বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার থেকে শুরু করে সারাদিন বিভিন্ন ট্রেনে মানুষ ধর্মতলা যাচ্ছেন। তৃণমূলের তরফে কর্মীদের বিস্কুট এবং জলের বোতল দেওয়া হয়। কলকাতায় দুটি জায়গা ঠিক করা হয়েছে, সেখানেই বীরভূমের কর্মীরা উঠবেন। তারপর নির্দিষ্ট সময়ে ধর্মতলা সভা মঞ্চে উপস্থিত হবেন বলে জানা গিয়েছে।

সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী জানালেন, বীরভূম থেকে ৩৫০ থেকে ৪০০ বাস যাচ্ছে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে। বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশী তকমা দিয়ে মানুষকে অযথা হয়রানি করার জবাব ২০২৬ শের নির্বাচনে মানুষ দেবে সেব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। একুশের শহীদ মঞ্চে তার গণগর্জন শোনা যাবে। মানুষ বাঙালির এই অপমান কখনই মেনে নেবে না বলেই তাঁর মত।
বিস্তারিত খবর দেখতে ইউটিউবের লিংক নিচে দেওয়া আছে।