জেলার খবর
Trending

শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এল থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় মেশিন।

বোলপুর, দেবস্মিতা চট্টোপাধ্যায় : শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এল থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় মেশিন। এর ফলে এইচপিএলসি পদ্ধতিতে মাত্র চার থেকে পাঁচ ঘন্টার মধ্যেই রিপোর্ট হাতে পাবেন সাধারণ মানুষ। শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিরেক্টর বিজয় দাস জানালেন, বীরভূম,পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান সহ বিস্তীর্ণ এলাকার কোথাও এই মেশিন ছিল না এতদিন। রক্ত নিয়ে কলকাতা যাওয়া হত। তারপর কলকাতা থেকে আসত রিপোর্ট। এর ফলে প্রায় চার পাঁচ দিন সময় লেগে যেত HPLC রিপোর্ট পেতে। ন্যূনতম মূল্যে শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকেই এবার HPLC টেস্ট করতে পারবেন সকলে।
একজন থ্যালাসেমিককে প্রয়োজন হলেই অন্যের রক্ত নিতে হয়। আজীবন চলে এভাবেই। তবে ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে তা প্রয়োজন হয় না। কাজেই টেস্ট করা না পর্যন্ত একজন মানুষ থ্যালাসেমিয়ার ক্যারিয়ার কিনা তা বোঝা সম্ভব হয় না। এদিকে দুজন ক্যারিয়ার যদি একে অপরকে বিয়ে করেন এবং পরবর্তীতে সন্তান নেন সে ক্ষেত্রে থ্যালাসেমিক সন্তান জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেকাংশেই। কাজেই নিয়ম বলছে বিয়ের আগে, নিদেনপক্ষে সন্তান সম্ভাবনার আগে বা সেই মুহূর্তে থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং টেস্ট ভীষণ প্রয়োজনীয়।


মানুষ সচেতন হচ্ছেন একটু একটু করে। চিকিৎসকেরাও আজকাল সন্তান সম্ভাবনার প্রথম ধাপেই মা এবং বাবার HPLC টেস্ট করতে দেন। কিন্তু বেসরকারি ল্যাব থেকে HPLC টেস্ট খরচসাপেক্ষ। কোথাও ৭০০, কোথাও ৮০০, কোথাও আবার ১০০০ টাকা নেওয়া হয় টেস্টপিছু। স্বাভাবিকভাবেই দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের পক্ষে স্বামী-স্ত্রীর HPLC টেস্টে ২০০০ টাকা একযোগে খরচ করা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সরকারিভাবে থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং টেস্টের পরিমাণ খুবই কম কিংবা সব জায়গায় হয় না বললেই চলে। উপায় থাকে না কিছুই। এবার শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৫০০ টাকা খরচের মধ্যেই হয়ে যাবে এই টেস্ট।
শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রেসিডেন্ট মলয় পীট জানালেন, তাঁরা সবসময় চেষ্টা করেন ভাল পরিষেবা দিতে। প্রথম থেকেই এটাই মূল লক্ষ্য। গ্রামীণ মানুষের কথা ভেবে ইতিমধ্যেই ব্লকস্তরে স্বাস্থ্য পরিষেবা শিবির হচ্ছে তাঁদের উদ্যোগে। এবার শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পরিষেবা নিতে আসা রোগীরা ঠিকমতো সব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন কিনা দেখার জন্য ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে সব সময় যোগাযোগের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের কথা ভাবা হয়েছে। শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তৈরি হয়ে গিয়েছে প্রতিটি ইউনিট। শুধুমাত্র ক্যান্সার ইউনিট হওয়া বাকি। তাও হবে অচিরেই বলেই আশাবাদী তাঁরা।

Related Articles

Back to top button