
রামপুরহাট, মুনতাজ রহমান : ভারতীয় সেনা কর্মীর বাংলাদেশী স্ত্রী। প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে না জানিয়ে এই দ্বিতীয় বিয়ের বিরুদ্ধে রামপুরহাট আদালতে প্রথম পক্ষ। তার মামলার প্রেক্ষিতে আজ সেই ভারতীয় সেনা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার শুনানিতে হাজির হন প্রথম পক্ষ রোশনারা খাতুন।
জানা গেছে, এক ভারতীয় সেনা কর্মীর বাংলাদেশী স্ত্রী। বাংলাদেশি স্ত্রীকে জাল পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওই সেনা কর্মীর বিরুদ্ধে। ।প্রথম স্ত্রীকে লুকিয়ে দ্বিতীয়বার বিয়ে।দ্বিতীয় স্ত্রী বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা।কাকাকে স্ত্রীর বাবা দেখিয়ে জাল পরিচয়পত্র।ভুয়ো আধার-প্যান-ভোটার কার্ড তৈরির অভিযোগ।এক চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের নলহাটির কয়থা গ্রামে। সেনা কর্মীর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর রোশনেয়ারা খাতুনের অভিযোগ এর আগেও একাধিক সম্পর্ক-বিয়ে আছে ওই সেনাকর্মীর।ওই সেনা কর্মীর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর রোশনেয়ারা খাতুন গত দুদিন আগে সংবাদ মাধ্যম কে দাবি করেন ওই সেনা কর্মী বাংলাদেশী এক মহিলাকে অবৈধভাবে বিয়ে করে জাল পরিচয়পত্র বানিয়েছেন নলহাটির কয়থাতে।

এই ঘটনা সামনে আসতেই তদন্ত শুরু করে নলহাটী এক নম্বর ব্লক প্রশাসন ও রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসন সেইমতো ২৫ শে জুলাই শুক্রবার রামপুরহাট মহকুমা ইলেকশন রিটারনিং অফিসার মহকুমা শাসকের দপ্তরে তলব করেন ওই সেনা কর্মী জিয়ারুল শেখ সহ তার বাংলাদেশি স্ত্রী হাবিবা খাতুন ও নকল বাবা যাকে দেখানো হয়েছে শমসের শেখ সহ তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী রোশনেয়ারা খাতুন কে ও বুথ লেভেল অফিসার কে। ওই সেনা কর্মী জিয়ারুল শেখ কে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর না দিয়েই মুখ ঢেকে ছুটে পালিয়ে যান। জিয়ারুল শেখের আইনজীবী শুক্রবার বিকেলে রামপুরহাট মহকুমা শাসকের দপ্তরে মেহবুব হাসান জানান সেনা কর্মী জিয়ারুল শেখ জানতেন না হাবিবা বাংলাদেশে ছিলেন কিনা।যখন কর্মরত ছিলেন পুণেতে সেই সময় আলাপ হয় হাবিবা খাতুন এর সাথে। হাবিবার কাছে পুরনো একটি আধার কার্ড ছিল সেই আধার কার্ডের ভিত্তিতেই জিয়ারুলের সাথে বিয়ে হয় ।
রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এই ঘটনার সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে প্রশাসন, আগামী দিনে আইনত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এই জালচক্রের সাথে যারা যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রশাসন।