নানুর, মুনতাজ রহমান (বাপি) : নানুরের পাপুড়ি গ্রামে পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার নিয়ে চক্রান্তের অভিসন্ধির অভিযোগ তুললেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফাইজুল হক ওরফে কাজল সেখ। তিনি পাপুড়ি গ্রামের ভূমি পুত্র।
বৃহস্পতিবার রাতে নানুর বিধানসভার অন্তর্গত পাপুড়ি গ্রামে আলামিন মিশনের পাশ থেকে একটি পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আর সেই মৃত দেহ পাপুড়ি গ্রামের পাশে খালা গ্রামের এক ১৪ বছরে নাবালিকার। মৃতের পরিবারের অভিযোগ শরীর কোন কিছু থেকে না চেনা গেলেও তার ওড়না ও পেন্ট দেখে অনুমান তাদের মেয়ে। পরিবারের দাবি ১৯ শে জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিল।
বন্ধবীর সাথে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল সে, বন্ধবী বাড়ি ফিরলে মেয়ে বাড়ি ফেরেনি।

আর এই মৃতদেহ উদ্ধার কে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলি নেমে পড়েছেন মাঠে।
এদিন সকালে মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে খালা গ্রামে নিজেই বাইক নিয়ে হাজির হন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফাইজুল হক ওরফে কাজল সেখ। মৃতের মা-বাবাকে সমবেদনা জানান। এবং তিনি এই মৃতদেহ নিয়ে অভিষন্ধের অভিযোগ তোলেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে পরিষ্কার জানান ৪-৫ দিনের মৃতদেহ কিভাবে কঙ্কালে পরিণত হলো। এবং যে জায়গাটাতে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে সেই জায়গাটিতে সব সময় চাষের জন্য ট্রাক্টারে মাঠে চাষ চলছে। তিনি দাবি করেন মৃতদেহ খুন করার পর কেউ বা কারা পাপড়ি গ্রামে ফেলে গেছে। তিনি আশাবাদ সত্য উদঘাটন হবে যে বা যারা এই খুনের পিছনে রয়েছে তারা ঠিক সামনে আসবে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করছে খুব তাড়াতাড়ি এই খুনের কিনারা করা যাবে।

তবে এখনো পর্যন্ত মৃতদেহটির কঙ্কাল দেখে নিশ্চিত নয় যে মেয়েটি খালা গ্রামের। এদিন মৃতদেহটি বোলপুর মহাকুমা হাসপাতাল থেকে রামপুরহাট গভমেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতন্ত্রের জন্য। মৃতদেহের সাথে পরিবারের ডিএনএ টেস্ট করা হবে। ডিএনএ টেস্টের পরই পুলিশ নিশ্চিত হবে এটি খালা গ্রামের নিখোঁজ নাবালিকা কি না।
নিখোঁজ নাবালিকার বাবা সুদেব মন্ডল জানান মেয়েকে চেনার উপায় নেই কারণ পুরো দেহ কঙ্কালে পরিণত হয়েছে। কেবল ওড়না ও প্যান্ট দেখে মনে হচ্ছে তাদেরই নিখোঁজ মেয়ে।