
লাভপুর, দেবস্মিতা চট্টোপাধ্যায় : বন্যা পরিস্থিতিতে নৌকায় চেপে পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্র-ছাত্রীরা, লাভপুরের তিনটি স্কুলে পরীক্ষা স্থগিত
টানা বৃষ্টির ফলে বীরভূমের লাভপুর অঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। কুয়ে নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় লাভপুরের জামনা ও ঠিবা অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কাঁন্দরকুলা গ্রাম থেকে বাঘসিনহা যাওয়ার প্রধান রাস্তাটি সম্পূর্ণভাবে ডুবে গেছে জলের নিচে, ফলে বন্ধ হয়ে গেছে স্বাভাবিক যাতায়াত ব্যবস্থা। এই পরিস্থিতিতে লাভপুরের অন্তত ১৫টি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের তরফে কিছু এলাকায় নৌকার ব্যবস্থা করা হলেও জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির মুখে পড়েছে পরীক্ষার্থীরা। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় চেপে জামনা, জয়চন্দ্রপুর, হরিপুর, চতুর্ভুজপুর, খাপুর, কান্দরকুলা প্রভৃতি গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা পৌঁছাচ্ছেন পরীক্ষাকেন্দ্রে। চলছে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষা। বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষাগুলি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে, তবে আগামী পরীক্ষাগুলোর ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।
বন্যা পরিস্থিতির জেরে লাভপুর কুরুন্নাহার উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রবিবার রাতে একটি মেসেজের মাধ্যমে জানিয়েছে, পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী সূচি জানানো হবে।

এছাড়াও, জামনা ধ্রুপবাটি বসন্তকুমারী গার্লস হাই স্কুল সোমবার পরীক্ষা শেষে একটি নোটিশে জানিয়েছে, পরবর্তী তিন দিনের জন্য পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে ফের পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে, অন্যথায় স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে।
একইভাবে, জামনা ধ্রুববাটি নীলরতন উচ্চ বিদ্যালয় থেকেও জানানো হয়েছে, বন্যার কারণে পরীক্ষাগুলি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের আগামী পরীক্ষার বিষয়ে পরবর্তীতে নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বন্যার কারণে একদিকে যেমন শিক্ষা ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি চরম আতঙ্ক ও দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে লাভপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষ।
বিস্তারিত খবর দেখতে ইউটিউবের লিংক নিচে দেওয়া আছে।