
শান্তিনিকেতন, আমার খবর : সমাজের গঠন মূলক কাজে উল্লেখ করে প্রস্তাবিত শান্তিনিকেতন প্রেসক্লাব গঠনের উদ্যোগ ডঃ মলয় পিটের। শান্তিনিকেতন রতন পল্লীতে মার্কেট প্লেসের মেইন জায়গায় তিনটি রুম, কিচেন ও ক্যাফেটেরিয়া বিশিষ্ট এই সুন্দর ঘরটি ভাড়া নেওয়ার চূড়ান্ত কথা হয়েছে। তিনটে রুমে এসে থাকবে এবং পাশাপাশি নেট সহ অন্যান্য কম্পিউটারের সুযোগ সুবিধা থাকবে। গঠনমূলক কাজে প্রেসের ভূমিকা উল্লেখ করে শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্ণধার ডঃ মলয় পিট বলেন, বোলপুরে প্রেসের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। কিন্তু সেটি প্রচারের আলোয় আসে না কারণ বিক্ষিপ্তভাবে করা হয় বলে। তাই ইউনাইটেড হয়ে একটি সংগঠন করা হচ্ছে। সাংবাদিকরাও মানুষের কাজে থাকেন সেটা তুলে ধরার জন্য এই সংগঠন। প্রস্তাবিত শান্তিনিকেতন প্রেস ক্লাব নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করি। সংগঠিত হলে এই ভাবনাচিন্তার প্রসার ঘটবে। সেই লক্ষ্যে বোলপুরে শান্তিনিকেতন ক্লাব একটি প্রস্তাবিত প্রেস ক্লাব নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করি।

এখানে আমরা আমাদের নিজের মত করে একটা খসড়া করলাম। কিন্তু যদি বিশিষ্টজনদের কাছে যায় এবং তাঁদের সুচিন্তিত মতামত পেলে আমাদের চলার পথ সুগম হবে। মঙ্গলবার, সকালে, শান্তিনিকেতনের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ডঃ অমর্ত্য সেনের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলের গণমাধ্যমকর্মীরা একত্রিত হয়ে ‘শান্তিনিকেতন প্রেস ক্লাব’ গঠনের বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। পেশাগত কাজের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নে সংবদ্ধভাবে কাজ করার যে লক্ষ্য তাঁরা স্থির করেছেন, তাতে অমর্ত্য সেনের দিকনির্দেশনা ও আশীর্বাদ তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি তারা যদি এখানে আসেন তাহলে আমরা উৎসাহ পাব। শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনেকে আসতে পারেনি। যারা ছিলেন তারা বললেন, একজনের ফোন নাম্বার দিয়ে যেতে। তারা সময় দেবেন আমাদের বলিষ্ঠ সাংবাদিক সুরজিৎ ঘোষ হাজরা আছেন। কার ফোন নাম্বার দেওয়া হলো। তিনি যোগাযোগ রাখবেন। আশা করছি এরকম একটি মহতি কাজে তিনিও অংশগ্রহণ করবেন। এই চিন্তা ভাবনা নিয়ে আমরা আজ এখান থেকে যাচ্ছি। সমাজের বিশিষ্ট মানুষজনের সঙ্গে খারাপ আলোচনার মাধ্যমে সাংবাদিক বন্ধুগণ সমাজের গঠনমূলক কাজে অংশগ্রহণ করবেন এই ভাবনা নিয়ে এই ক্লাবটি গঠন করার কথা ভাবছি।
বিস্তারিত খবর দেখতে ইউটিউবের লিংক নিচে দেওয়া আছে।