মানবিক মূল্যবোধ ও শান্তির বার্তা নিয়েই ঈদে মিলাদুন্নবী
মানবিক মূল্যবোধ ও শান্তির বার্তা নিয়েই ঈদে মিলাদুন্নবী
আমার খবর : বিশ্ব নবী দিবস বা ঈদে মিলাদুন্নবী ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে এক বিশেষ দিন। ইসলামিক ক্যালেন্ডারের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়ালের ১২ তারিখে পালিত হয় এই দিনটি, যা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতিবাহক।

ইতিহাস
ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবী করীম (সা.)-এর জন্মদিন আলাদাভাবে পালিত হতো না। তবে পণ্ডিত ও ধর্মগুরুরা তাঁর জীবন ও শিক্ষার কথা স্মরণে কুরআন পাঠ ও আলোচনার জন্য সভা আয়োজন করতেন। ধীরে ধীরে এই আয়োজনগুলো বৃহত্তর সাম্প্রদায়িক উৎসবে রূপ নেয়।

বর্তমান প্রেক্ষাপট
আজ ঈদে মিলাদুন্নবী শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং মুসলিম সমাজের মধ্যে সামাজিক ও আধ্যাত্মিক সংহতির প্রতীক। বহু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে এই দিনটি জাতীয় ছুটি হিসেবেও পালিত হয়। মসজিদ ও মাদ্রাসায় বিশেষ ধর্মীয় আলোচনা, কুরআন তেলাওয়াত এবং নবীর জীবন থেকে শিক্ষাগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

তাৎপর্য
এই উৎসব মুসলিম সমাজকে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাঁর জীবন ও আদর্শ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে শান্তি, সহমর্মিতা ও নৈতিকতার পথে চলার অঙ্গীকার নবায়ন করা হয়।

এদিন যথাযথ মর্যাদার সাথে বোলপুর লায়েকবাজারে বিশ্ব নবী দিবস উদযাপন হয়। কচিকাঁচা থেকে শুরু করে সকলেই অংশগ্রহণ করেন পদযাত্রায়। এই দিনটিকে স্মরণ করে সারাদিনব্যাপী নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।